
দখলে থাকা পশ্চিম তীরকে মানচিত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত করে নিতে ইসরায়েলের কিছু আইনপ্রণেতার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে সেটাকে প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পশ্চিম তীর নিয়ে ইসরায়েল ‘কিছুই করতে যাচ্ছে না’।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আইন বলবৎ করতে আনা একটি বিলে বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট প্রাথমিক সম্মতি দেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যে ট্রাম্প এ কথা বললেন। কট্টরপন্থি ইসরায়েলি আইনপ্রণেতাদের আনা ওই বিলকে পশ্চিম তীর অঙ্গীভূত করে নেওয়ার চেষ্টা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। বিলটি বুধবার ১২০ সদস্যের নেসেটে ২৫-২৪ ভোটে পাস হয়। যদিও পূর্ণাঙ্গ আইনে পরিণত হতে একে আরও অন্তত তিনটি ভোটের বাধা পাড়ি দিতে হবে।
ট্রাম্প যে বিলটির বিরোধিতা করবেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তা আগেই জানিয়েছিলেন। ইসরায়েল কখনোই পশ্চিম তীরকে অঙ্গীভূত করতে পারবে না বলে বৃহস্পতিবারই তিনি মন্তব্য করেন বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসরায়েল সফররত এ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা যদি রাজনৈতিক স্টান্টবাজি হয়, তাহলেও এটি খুবই ফালতু হয়েছে, আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে একে অপমানজনক মনে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরের দিকে ট্রাম্প ইসরায়েলের পশ্চিম তীর দখলকে বৈধতা দেওয়ার প্রচেষ্টাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। এর আগে তিনি একবার বলেছিলেন, এ ধরনের কোনো চেষ্টা তিনি বরদাশত করবেন না। পশ্চিম তীর নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ইসরায়েল পশ্চিম তীর নিয়ে কিছুই করতে যাচ্ছে না।
ট্রাম্প, ভ্যান্সের আগে রুবিও ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছিলেন, তেল আবিবের এ ধরনের প্রচেষ্টা গাজা যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনাকে বিপদে ফেলতে পারে। ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনায় আপাতত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে একটি নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি চলছে।
পশ্চিম তীর নিয়ে বিলটিতে ভোটের প্রস্তাব দেন কট্টর ডানপন্থি এক সংসদ সদস্য, যিনি সম্প্রতি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নেতৃত্বাধীন শাসক জোট থেকে বেরিয়ে গেছেন। প্রস্তাবে সমর্থন দেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ও অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচের মতো উগ্র-জাতীয়তাবাদী নেতারা।
নেতানিয়াহুর লিকুদ দল জানায়, তারা এই প্রস্তাবে ভোট দেয়নি এবং তাদের সমর্থন ছাড়া পশ্চিম তীর অঙ্গীভূত করার বিল ‘পান হওয়ার সুযোগই নেই’।
নেতানিয়াহু অবশ্য বারবারই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তার মন্ত্রিসভা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে পশ্চিমা অনেকে দেশের স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিম তীরকে অঙ্গীভূত করার ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছিল, কিন্তু গত মাসে ট্রাম্প আপত্তি জানানোর পর সেই ভাবনা স্থগিত হয়ে যায়।
